কিভাবে ছড়ায়?
এই রোগের জীবাণু পশুর মলের মাধ্যমে নির্গত হয়ে মাটির সাথে মিশে থাকে এবং যেকোনো কাটা/ক্ষত স্থান দিয়ে শরীরে ঢোকে। শিশুর জন্মের পর অপরিষ্কার (জীবাণুযুক্ত) ছুরি, কাঁচি বা ব্লেড দিয়ে নাড়ি কাটলে অথবা কাঁচা নাড়িতে গোবর বা ময়লা কাপড় ব্যবহার করলে নবজাতক শিশুর ধনুষ্টঙ্কার রোগ হতে পারে। জন্মের ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলা হয়।
লক্ষণ
শিশু
জন্মের ১ম ও ২য় দিন শিশু স্বাভাবিকভাবে কাঁদতে পারে এবং বুকের দুধ টেনে খেতে পারে। পরবর্তীতে-
- জন্মের ৩-২৮ দিনের মধ্যে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে
- বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়
- মুখ ও চোয়াল শক্ত হয়ে যায় এবং জোরে কাঁদতে পারে না
- শরীর শক্ত হয়ে যায়
- খিঁচুনি হয়
- কখনো কখনো শরীর পেছনের দিকে ধনুকের মত বাঁকা হয়ে যায়
মা
- গর্ভকালীন সময় বা প্রসবের ৬ সপ্তাহের মধ্যে মা ধনুষ্টংকারের আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত যেকোনো ক্ষতের ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে ধনুষ্টংকার হতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১৪ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে।
- মায়ের ধনুষ্টংকারের লক্ষণ নবজাতকের ধনুষ্টংকারের মত হয়ে থাকে, যেমন- চোয়াল শক্ত, ঘাড়ের ও শরীরের মাংশপেশী শক্ত, গিলে খেতে অসুবিধা এবং খিঁচুনি।
প্রতিরোধ
১৫-৪৯ বছর বয়সের সন্তান ধারণক্ষম সকল মহিলাকে সময়সূচি অনুযায়ী ৫ ডোজ টিটি টিকা দিয়ে নবজাতক ও মায়ের ধনুষ্টংকার রোধ করা যায়। এছাড়াও নিরাপদ প্রসব পদ্ধতি অভ্যাস করা ও নাড়ি কাটার জন্য জীবাণুমুক্ত ব্লেড ব্যবহার করা দরকার।