হেপাটাইটিস-বি লিভারের একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। এমনকি এই রোগ অনেক বৎসর পরও লিভারে মারাত্মক প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। উপযুক্ত পরিবেশে দেহের বাইরেও এই ভাইরাস কমপক্ষে ৭ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে এবং সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে।

কিভাবে ছড়ায়?

হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর রক্ত ও দেহ রসের মাধ্যমে ছড়ায়।

এই ভাইরাস একজন হতে আরেকজনের শরীরে নিম্নলিখিত উপায়ে সংক্রমিত হয়-

লক্ষণ

প্রথমবারের মত যখন একজন কিশোর/কিশোরী বা প্রাপ্ত বয়স্ক লোক হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তখন তার মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়-

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, হেপাটাইটিসের যেকোনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেই জন্ডিস দেখা দেয়। আর হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন “বি” ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। সুতরাং এ কথা বলা যায় না যে, হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে আর জন্ডিস হবে না। কারণ “বি” ভাইরাস ছাড়াও বাকি ৪ প্রকার (হেপাটাইটিস এ,সি,ডি এবং ই) ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা অন্য কারণে জন্ডিস হতে পারে।

প্রতিরোধ

তিন ডোজ পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দিয়ে শিশুকে এ রোগ থেকে রক্ষা করা যায়।

 

ইপিআই কার্যক্রমে হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি অন্তর্ভুক্তির পরে ডিপিটি এবং হেপাটাইটিস-বি টিকা আলাদা আলাদা না দিয়ে সমন্বিতভাবে ১টি টিকার মাধ্যমে ৫টি রোগের (ডিফথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি এবং হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি) বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। এই টিকাকে পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন বলা হয়েছে।