নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া এক ধরনের নিউমোনিয়া যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা শিশুদের দেহে মারাত্মক ধরনের সংক্রমণ করে। এই সংক্রমণ সাধারণত উপরের শ্বাসতন্ত্রের বেশি হয়, এছাড়াও রক্তে, ফুসফুসে, কানে বা স্নায়ুতন্ত্রেও হতে পারে। এ সংক্রমণের মধ্যেঅন্যতম হল মারাত্মক নিউমোনিয়া। এছাড়াও ম্যানিনজাইটিস, রক্তপ্রবাহ, কানের প্রদাহ, সাইনাস প্রদাহ, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ (ব্রনকাইটিস)। ৫ বছরের কম বয়সী শিশু এবং বৃদ্ধ ব্যক্তিরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই রোগের ঝুঁকিপূর্ণ।
কিভাবে ছড়ায়?
এই রোগের জীবাণু প্রধানত রোগাক্রান্ত শিশুর হাঁচি কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। সুস্থ শিশু আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে এলে এমনকি আক্রান্ত শিশুর ব্যবহৃত সামগ্রীর (তোয়ালে, খেলনা ইত্যাদি) মাধ্যমে এ জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়াও রোগের জীবাণু সুস্থ মানুষের নাক, সাইনাস ও মুখে থাকতে পারে যা নিঃশ্বাস-এর সাথে ফুসফুসে ছড়িয়ে এ রোগ ঘটাতে পারে।
লক্ষণ
নিউমোনিয়াঃ
- কাশি
- জ্বর(কাঁপুনি দিয়ে জ্বর)
- শ্বাস কষ্ট
অন্যান্য লক্ষণঃ
- মাথা ব্যথা
- ক্ষুধা মন্দা
- ক্লান্তি
- বুকে ব্যথা
ব্যাকটেরিয়াল ম্যানিনজাইটিসঃ
- মাথা ব্যথা, জ্বর, বমি ও ঘাড় শক্ত হয়ে যায়
- উজ্জ্বল আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়
- গিটে ব্যথা হয়
- ঘুম ঘুম ভাব হয়
- শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়
- অচেতন হয়ে যায়।
প্রতিরোধ
তিন ডোজ নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) দিয়ে শিশুকে এ রোগ থেকে রক্ষা করা যায়।
নিউমোকক্কাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য সেরোটাইপের (Serotype) উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ পিসিভি-৭, পিসিভি-১০, পিসিভি-১৩ ও পিসিভি-২৩। বাংলাদেশে নিউমোকক্কাল রোগের প্রাদুর্ভাবের উপর নির্ভর করে সরকার পিসিভি-১০ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।