বাড়িতে গর্ভবতী মহিলার যত্ন
-
গর্ভকালীন সময়ে ভারি কাজ করা যাবে না, যেমন- টিউবওয়েল চাপা, ধান ভানা, ভারি জিনিস তোলা, অতিরিক্ত/ভারি কাপড় ধোয়া ইত্যাদি৷
ভারি কাপড় ধোয়া
ভারি জিনিস তোলা
ধান ভানা
টিউবওয়েল চাপা
-
গর্ভবতীর শরীরে ঝাঁকি লাগে এমন কাজ এবং দূরে যাতায়াত করা যাবে না।
-
গর্ভবতীকে দিনের বেলা অন্তত ২ ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে।
-
গর্ভস্থ শিশুর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ সময় গর্ভবতীকে প্রতি বেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে পুষ্টি কর খাবার খেতে হবে। যেমন-
-
- শক্তিদায়ক খাবারঃ ভাত,রুটি/পরোটা, আলু, চিনি, গুড়, সুজি এবং সয়াবিন তেল, বাদাম, কলিজা, ঘি/মাখন, চর্বি , ডিমের কুসুম ইত্যাদি।
-
- ক্ষয়পূরণকারী এবং শরীর বৃদ্ধিকারক খাবারঃ মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং বিভিন্ন ধরনেরডাল, মটরশুটি, সীমের বীচি, বাদাম, তিল, সরিষা, ইত্যাদি।
-
- রোগ প্রতিরোধক খাবারঃ সবুজ, হলুদ ও অন্যান্য রঙিন শাক-সবজি এবং সবধরনের মৌসুমী ফলমূল। গর্ভবতীকে এসব খাবারের তালিকা থেকে প্রতিদিন ৩ ধরনের খাবারই কিছু কিছু খেতে হবে।
এছাড়াওঃ
- গর্ভবতী যেন সবসময় হাসিখুশি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
- গর্ভবতীকে প্রতিদিন ভরাপেটে ১টি করে আয়রন/ফলিক এসিড ট্যাবলেট একটানা কমপক্ষে ১২০ দিন খেতে হবে। তবে স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।
- গর্ভস্থ শিশুর বুদ্ধি বিকাশ ও গর্ভপাতের ঝুঁকিপ্রতিরোধের জন্য প্রতিদিন তরকারিতে আয়োডিনযুক্ত প্যাকেট লবণ খেতে হবে । তবে অতিরিক্ত লবণ বা ভাতে কাঁচা লবণ খাওয়া যাবেনা।
-
গর্ভবতীকে বেশি করে পানি খেতে হবে (কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস)।
গর্ভকালীন চেকআপ ৪ বার
- গর্ভবতী হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
- গর্ভের ৪-৬ মাসের মধ্যে ২য় চেকআপ
- গর্ভের ৮ মাস হলে ৩য় চেকআপ
- গর্ভের ৯ মাস হলে ৪র্থ চেকআপ